নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পুলিশ ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মোঃ শামীম (৩০) নামের এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার নগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই মাসুদ রানা ও সঙ্গীয় ফোর্স।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরএমপি পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কুদ্দুস।

গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাদ শামীম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার জামিল ড্রাইভারের ছেলে।

জানা যায়, নাটোর গুরুদাসপুরের মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন (২১) গতকাল বৃহস্পতিবার ০৪ মার্চ সন্ধ্যায় বাজার করার জন্য তার বন্ধুদের সাথে তালাইমারী যাচ্ছিলেন। তারা মেসে থেকে লেখাপড়া করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তালাইমারী শহীদ মিনারের কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা দুইজন পুলিশ ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদেরকে তল্লাশি করার কথা বলে।

এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানি ব্যাগ গুলো নিয়ে নেয়। পরে বলে সামনে গাড়ী আছে সেখানে চলো।
তারা আসামীদের কথা মতো তালাইমারী শহীদ মিনারের সামনে ফাঁকা মাঠের মধ্যে গেলে আসামীরা ৩০ হাজার টাকা দাবী করে।

টাকা না দিলে থানায় নিয়ে গিয়ে মাদক মামলা দিয়ে চালান করে দিবো বলে হুমকি প্রদান করে।

মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন (২১) ও তার বন্ধুরা তখন আসামীদেরকে জানায় তাদের নিকট এতো টাকা নেই।

এরপর আসামীরা মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন (২১) ও তার অপর দুই বন্ধু গোদাগাড়ীর মোঃ আবু রায়হান (২৪) ও পুঠিয়ার মোঃ সাব্বির হোসেন (২১) নিকট হতে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩,৯০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এছাড়া আসামীরা রায়হান এর জাতীয় পরিচয়পত্র, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র, ডেভিড কার্ড নিয়ে নেয়।

আসামীদের কথাবার্তা ও আচরণ দেখে সন্দেহ হয় শিক্ষার্থীদের। এ সময় তারা চিৎকার করলে আসামীরা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এবং মোঃ নাসিরুজ্জামান ইমন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিলে টহল পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়ভাবে আসামীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

আসামী শামীমের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় পূর্বেও মামলা ছিলো। অপর আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান মুখপাত্র।

মতিহার বার্তা / ইএবি